আজ, শুক্রবার | ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে চকরিয়ার দুই ফিশিং বোট হামলার শিকার, মাছ ও মালামাল লুট

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের চকরিয়ার দুই ফিশিং বোট কুতুবদিয়ার সাগরে হামলার শিকার হয়েছে। লুট করা হয়েছে মাছ ও মালামাল। কিন্তু ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে উল্টো দুই বোটের মাঝিমাল্লাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন কুতুবদিয়ার অপর বোটের মাঝি। এমনকি গত ৯দিন ধরে কোন খোজও পাচ্ছেননা চকরিয়ার দুইটি ফিশিং বোটের। ফলে বোট মালিক ও মাঝিমাল্লাদের পরিবারে চলছে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা। এঘটনায় চকরিয়া প্রেসক্লাবে ১৯নভেম্বর বিকাল ৩টায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন দুই ফিশিং বোটের মালিক পক্ষ।

অভিযোগে ও প্রাপ্ত তথ্যে জানাগেছে, চকরিয়া পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ডের নিজপানখালী এলাকার মরহুম মাষ্টার আলতাফ হোসেনের পুত্র চট্টগ্রামস্থ কক্সবাজার সামুদ্রিক মৎস্য আহরণকারী জাল বোট মালিক সমবায় সমিতি লি: উপদেষ্টা মোহাম্মদ সেলিম ও চকরিয়া পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ডের সবুজবাগ এলাকার বর্তমান বাসিন্দা মরহুম আবুল হোসেনের পুত্র ও সমিতির সহসভাপতি  আহমদ করিমের মালিকানাধীন এফ.বি তাফসীর হাসেম ও এফ.বি জান্নাতুল রাঈমা দুইটি ফিশিং বোট গত ১০ নভেম্বর’২১ইং সকাল ১০ ঘটিকায় সাগরে ইলিশ মাছ আহরণের জন্য ৪০জন মাঝিমাল্লা নিয়ে কুতুবদিয়া চ্যানেলের নজুবড় নাশি ঘাট এলাকা থেকে রওয়ানা হয়।
বোট মালিক মোহাম্মদ সেলিম ও আহমদ করিম অভিযোগ করে বলেন, তাদের ফিশিং বোট দুইটি সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার ৮দিন পর্যন্ত কি অবস্থায় রয়েছে কোন খবরা খবর পাননি। হঠাৎ করে ১৮নভেম্বর রাত ১১টায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সিটিজি ক্রাইম টিভি ডটকম নামে অনলাইন পেইজে ভিডিও বক্তব্যের মাধ্যমে জানতে পারেন কুতুবদিয়ার এফ.বি মায়ের দোয়া নামে ফিশিং বোটের মাঝি আবদুল মজিদ উল্লেখিত দুইটি ফিশিং বোটের মাঝি সর্বপরিচিত বদি মাঝি ও তার ভাই হোসেন মাঝির বিরুদ্ধে কথিত অভিযোগ এনেছেন। তাদেরকে কথিত ডাকাত হিসেবে আখ্যায়িত করলেও সাগরে মাছ ধরার ইতিহাসে বোটের মাঝিরা ডাকাতি করে এধরণের নজির নেই। সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে বোটের মধ্যে ধাক্কা-ধাক্কি কিংবা সাগরে জাল বসানো নিয়ে কথা কাটকাটি ও সামান্য বিরোধ থাকতেই পারে। এটিকে ডাকাতি হিসেবে আখ্যায়িত করা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। এধরণের তুচ্ছ বিরোধ নিষ্পত্তি করতে আমাদের বোট মালিক সমিতি রয়েছে, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা রয়েছে। কিন্তু সৎ উপার্জনে কাজ করা দুই মাঝিমাল্লা নিয়ে কুরুচিপূর্ণ আচরণ কিছুতেই সমীচিন নয়।
তারা অভিযোগ করেন, বর্তমানে তাদের দুই বোটের ৪০জন মাঝিমাল্লারা কোন অবস্থায় রয়েছে, তাদের আহরিত সামুদ্রিক মাছ, ফিশিং বোট ও জাল অক্ষত আছে কিনা তা নিয়ে বোট মালিক ও মাঝিমাল্লাদের পরিবার চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছে। তাই এবিষয়ে বোট মালিকরা তাদের সংগঠন চট্টগ্রামস্থ কক্সবাজার সামুদ্রিক মৎস্য আহরণকারী জাল বোট মালিক সমবায় সমিতি লি: রেজি: নং ১২৩২০ এর নেতৃবৃন্দের কাছে ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করেছেন। তারা দুইটি ফিশিং বোট ও ৪০ মাঝি-মাল্লাদের উদ্ধারে আইনের কাছেও সহায়তা কামনা করেন।