গত ১৭নভেম্বর’১৯ইং দৈনিক বাকখালী, আমাদের কক্সবাজার ও কক্সবাজার বাণী পত্রিকা এবং অনলাইন-সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে “চকরিয়ায় যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে পাষন্ড স্বামী” শীর্ষক প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন কাল্পনিক ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। সংবাদের সাথে বাস্তবতার কোন মিলনাই। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে; আমার স্ত্রী আয়েশা বেগমকে নামাজ পড়ার জন্য আজু করতে বললে ক্ষিপ্ত হয়ে সাংসারিক তুচ্ছ বিরোধে মিথ্যা কল্পকাহিনী সাজিয়েছে। ঘটনারদিন ১৪ নভেম্বর রাত অনুমানিক ৯টার দিকে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে আমার স্ত্রী স্বর্ণালকার, টাকা ও মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। আমার স্ত্রী বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় তার কাছে রক্ষিত বিবাহের ৩ভরি ওজনের স্বর্ণলংকার, আমার মায়ের রক্ষিত ৮ আনা ও আমার বোনের রক্ষিত ১ভরিসহ মোট সাড়ে ৪ ভরি স্বর্ন এবং আমার বিদেশ যাওয়ার জন্য রাখা নগদ ২ লাখ টাকা, ২টি এনড্রয়েড মোবাইল সেট, নতুন ডিজিটাল পাসপোর্ট, স্মার্ট কার্ড ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। পরদিন খবর নিয়ে জানতে পারি আমাদের বাড়ির পার্শ্ববর্তী এলাকায় আমার স্ত্রীর ভগ্নিপতি মিজানের বাড়িতে সে অবস্থান করছে। সেখানে গিয়ে আমার মাসহ পরিবারের সদস্যরা খোজ নিলে আমার স্ত্রী নাই বলে তাদের তাড়িয়ে দেন। কিন্তু ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে আমার স্ত্রীর ভগ্নিপতি (স্বজন)মিজান। সেখান থেকে আমার স্ত্রী পিতার বাড়ি চলে গেলেও মিজানের চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র থেমে নেই। ঘটনার বিষয়টি আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় চিরিঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জসিম উদ্দিনকে অবহিত করেছি এবং চকরিয়া থানা পুলিশকে জানিয়েছি। একই সাথে আমার শ্বাশুর বাড়ির লোকজনকেও ফোন করে অবগত করেছি। সংবাদে উল্লেখিত যৌতুকের জন্য পিটিয়ে ও গলায় ওড়না পেচিয়ে হত্যার চেষ্টা নামে কোন ঘটনা ঘটেনি। আমাদেরকে সামাজিক ও প্রশাসনিকভাবে ঘায়েল করতে প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে পত্রিকায় ভিত্তিহীন ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করেছে। যার আদৌ কোন সত্যতা নেই।
প্রতিবাদকারী- মহিউদ্দিন, বাহাদুর করিম (বাবু মিয়া)
সওদাগরঘোনা, ৬নং ওয়ার্ড, চিরিংগা ইউনিয়ন, চকরিয়া কক্সবাজার।##