চকরিয়া অফিস:
ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার চিরিংগাস্থ মাতামুহুরী নদীর উপর ৬ লেইন বিশিষ্ট নতুন সেতু নির্মাণকে কেন্দ্র করে ব্রীজ নির্মাণে পৌর শহরে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসনের এলএ শাখা ও সড়ক ও জনপথ বিভাগ। তবে কয়েকজন জমি ও স্থাপনা মালিক অভিযোগ করেছেন, তাদের জমিতে উচ্ছেদ অভিযান চালালেও তারা এখনো কোন ধরণের ক্ষতিপূরণের টাকা হাতে পাননি। ৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পযর্ন্ত এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, ব্রীজ সংলগ্ন জমজম হাসপাতালের সামনে বিএস ৩৩ নং খতিয়ানের বিএস ৭৩৬ নং দাগের .১৫ একর জমি ১টি দোতলা দালান গৃহ ও ১টি সেমি পাকা ঘরে ১০টি দোকান ঘর স্থিত রয়েছে জমি মালিক পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ডের নামারচিরিংগা এলাকার মৃত ফজল করিমের পুত্র আলহাজ্ব মো: এহেছানের। তিনি এলএ মামলা নং ১০/২০১৭-১৮, রোয়েদাদ নং ২৬ মূলে জমি ও স্থাপনার মালিক হিসেবে নোটিশ পাওয়ার পরও নানা জটিলতায় ক্ষতিপূরণের টাকা উত্তোলন করতে পারেননি। ফলে আকর্ষিক মাইকিং শুনে সাথে সাথে গত ৩ সেপ্টেম্বর’১৯ইং কক্সবাজার জেলা প্রশাসক বরাবরের স্থাপনা নিজ দায়িত্বে সরিয়ে নিতে কয়েকদিনের সময় চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক আবেদন মনজুর করে তাকে নিজ দায়িত্বে স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার সুযোগ দেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্বে দেয়া কতিপয় কর্মকর্তারা অভিযানের শুরুতেই তার সব স্থাপনা ও দোতলা দালাল মাটির সাথে গুড়িয়ে দিয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, এহেছানের স্থাপনা ও দালান মুহুর্তেই গুড়িয়ে দিলেও তার পাশ্ববর্তী লাগোয়া ডা: সোলতান আহমদ সিরাজীর ভবন এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের বাংলো ও সীমানা দেয়ালে কোন ধরণের আষড় লাগায়নি। এদিকে উচ্ছেদে নেতৃত্বে দেয়া এলএ শাখা ও সড়ক বিভাগের কর্মকর্তাদেরকে জেলা প্রশাসনের লিখিত অনুমতি পত্রটি দেখানো হলেও তারা কোন ধরণের কর্ণপাত করেনি। মো: এহেছান অভিযোগ করেন, তার স্থাপনায় অবৈধ উচ্ছেদকালে তার অন্তত ১ কোটি টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। তিনি এনিয়ে যথাযথ আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানান। উচ্ছেদ অভিযানে ছিলেন- কক্সবাজার সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী চয়ন কুমার ত্রিপুরা, সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবু এহেসান, ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক, সওজের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।