চকরিয়া অফিস:
চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের চৌয়ার ফাঁড়ি বাজারে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের আগুনে পুড়ে গেছে ১৪টি দোকান। গতকাল মঙ্গলবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে অগ্নিকা-ের ক্ষতির পরিমাণ ২০ লাখ আবার কোনটিতে অর্ধলাখ টাকা তুলে ধরা হলেও বাজার সমিতির পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে ক্ষতির পরিমাণ দুই কোটি টাকা। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম বিভ্রান্তি তৈরী হয়েছে। বাজার সমিতির সভাপতি ও পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা জানিয়েছেন, রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের চৌয়ার ফাঁড়ি বাজারে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে বাজারের সারের দোকান, মুদির দোকান, টেইলার্সের দোকান দুইটি, লন্ড্রির দোকান, চায়ের দোকান (কুলিং কর্নার), লাইব্রেরীর দোকান, ফার্নিচারের দোকান, ঔষধের দোকান (ফার্মেসী), কম্পিউটারের দোকানসহ অন্তত ১৪টি দোকান মালামালসহ পুড়ে ছাই যায়। গতকাল বাজার সমিতির পক্ষ থেকে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে ১৪টি দোকানে ক্ষতির পরিমাণ দুই কোটি টাকা। ক্ষতিসাধরণের বিষয়ে একই ধরণের কথা বলেছেন বাজারের ব্যবসায়ী মুদির দোকান আজম উদ্দিন ও সারের খুচরা বিক্রেতা গিয়াস উদ্দিন। তাদের দাবি, ১৪টি দোকানে বিপুল পরিমাণ ক্ষতিসাধন হলেও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে অতিনগন্য। এতে ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে ব্যবসায়ী মহলে বিভ্রান্তি তৈরী হয়েছে। মুদির দোকানদার আজম উদ্দিন বলেন, তাঁর একটি দোকানে আগুনে পুড়ে ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ঘটনার সময় দোকানের ক্যাশে রক্ষিত ছিল নগদ ৬০ হাজার টাকা। এখন তিনি পুঁিজ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। খুচরা সার বিক্রেতা গিয়াস উদ্দিন বলেন, প্রতিদিনের মতো রাত ৯টার পর তিনি দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যান। রাত খাবার শেষে ঘুমাতে গেলে জানতে পারেন বাজারে আগুন লেগেছে। তাৎক্ষনিক বাজারে এসে দেখেন আগুনের লেলিহান শিখায় তাঁর দোকান পুড়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আগুনে তাঁর প্রায় ৪ লাখ টাকার সার ও কীটনাশক পুড়ে গেছে। তিনি এখন সব হারিয়ে দেউলিয়া। ##