চকরিয়া অফিস:
চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল বিএমএস উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের নানা অনিয়ম দূর্নীতি নিয়ে শিক্ষা অধিদপ্তরসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বাদীর ২সন্তানকে স্কুলে উদ্দেশ্যেমূলকভাবে ভর্তি করাচ্ছেনা প্রধান শিক্ষক। এনিয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ২১ জানুয়ারী’১৯ইং দুপুরে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী ২ শিক্ষার্থীর পিতা মো: জুনাইদুল হক।
জুনাইদ অভিযোগ করেন, বিগত সময়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ সরকারি বিধি বহির্ভূত ও নিয়োগের পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের অর্থ- আত্মসাৎ সহ নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে তিনি (জুনাইদ) বাদী হয়ে চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, চট্টগ্রাম, জেলা শিক্ষা অফিসার,কক্সবাজারসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি স্কুলের অন্তত ৪৫লাখ টাকা আত্মসাতের কথা বলেন। বর্তমানে বিচার কার্য ও তদন্ত চলমানাধীন রয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক এর জের ধরে অত্র বিদ্যালয়ে তার (জুনাইদ) পড়ুয়া ২ সন্তান ১জন ৬ষ্ঠ হতে ৭ম শ্রেণি, আরেক জন ৮ম হতে ৯ম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে বিনাঅজুহাতে পাঠদানের সুযোগ কিংবা ভর্তি করাচ্ছেনা। অথচ: স্কুলের পূর্বের সকল শিক্ষার্থীদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পাঠ্যবই স্কুলে পৌছে দিয়েছেন এবং বছরের শুরুতে ১জানুয়ারীই শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে নতুন পাঠ্যবই তুলে দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছেন। তার কোন কিছু তোয়াক্কা না করে শুধুমাত্র প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগের বাদী হওয়ায় ইচ্ছাকৃতভাবে ২জন সন্তানকে ভর্তি করছেনা।
অভিভাবক জুনাইদুল হক বলেন, সর্বশেষ গত ৩ জানুয়ারী পযর্ন্ত তার স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছ গিয়ে একাধিকবার ধর্ণা দিয়েছেন কিন্তু ভর্তিও করাননি, নতুন বইও দেননি। তিনি পূর্বে কমিটি গঠনে অনিয়ম নিয়েও এলাকাবাসীর স্বার্থে কক্সবাজার জেলা জজ আদালতে মামলা করেছেন বলে জানান।
এপ্রসঙ্গে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান জানান, স্কুলের অভিভাবক জুনাইদুলের হকের ২ সন্তানকে স্কুলে ভর্তি না করার বিষয়ে লিখিত অভিযোগটি পেয়েছেন। তা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য উপজেলার একাডেমিক সুপারভাইজারকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান