আবদুল মজিদ,চকরিয়া:
সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে নির্বাচন বাকি রয়েছে মাঝখানে মাত্র ১টি দিন। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণাও শেষ হয়েছে ইতিমধ্যে। তবে এ নির্বাচনে মহাজোট মনোনীত আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে প্রার্থী চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাফর আলমের নৌকা প্রতীকের সমর্থনে নেতাকর্মীরা সড়কে-মহাসড়কে, গ্রামে-গঞ্জে ব্যাপক শোডাউন, মিছিল, মিটিং, সভা-সমাবেশ উৎসব মুখর পরিবেশে সম্পন্ন করলেও তেমন বেশি প্রচারণায় ছিলেননা বিএনপির ধানের শীষে মনোনীত প্রার্থী সাবেক সংসদ এডভোকেট হাসিনা আহমদ ও তার দলীয় নেতাকর্মীরা। এবারের নির্বাচনকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছেন আওয়ামীলীগ। তাই তাদের মূল লক্ষ্য যেকোন ভাবে বিজয় নিশ্চিত করা। অপরদিকে পূর্বের ধারাবাহিকতায় অতি কৌশলে পূণরুদ্ধারে এগুচ্ছেন বিএনপি।
জানতে চাইলে মহাজোট প্রার্থী জাফর আলম জানিয়েছেন, বিগত দিনে তিনি চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তৎসময়ের উন্নয়ন ও সাফল্য এবং দলীয় বিশাল কর্মী বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর এই আসনে জয় নিশ্চিত করে ইতিহাস সৃষ্টি করতে চান। এজন্য তাদের চোখে বিজয় ছাড়া কিছু দেখছেনা। তিনি ইতিমধ্যে দুই উপজেলার প্রত্যন্তাঞ্চলে পথসভা ও গণসংযোগ করে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন। এখন জনগন চায় উন্নয়ন। তাই শেখ হাসিনাকে আবারো প্রধানমন্ত্রী করতে দুই উপজেলার মানুষ নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছেন। এদিকে নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিনে (২৭ ডিসেম্বর) গভীর রাত পর্যন্ত ব্যাপক হারে সভা-সমাবেশ করেছেন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সমর্থকরা। তাদের কাছে নির্বাচনকে ঘিরে উৎসব চলে বলে মন্তব্য করেন নেতাকর্মীরা।
অপরদিকে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে সংসদ সদস্য প্রার্থী এডভোকেট হাসিনা আহমদ জানিয়েছেন, তার দলের নেতাকর্মীরা বাড়ি থেকে বের হলেই হামলা-মামলা ও পুলিশি গ্রেফতার হচ্ছেন। তাই মামলা ও গ্রেফতার এড়াতে গত ১৩দিন ধরে প্রচারণার জন্য বাসা থেকে বের হতে পারেননি। এমনকি নির্বাচনী ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বের জন্য বাছাইকৃত এজেন্টদের নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তিনি এরপরও আশা করেন সুষ্ঠু ভোট হলে কক্সবাজার-১ আসনে সালাহ উদ্দিন আহমদের আসন হিসেবে পূণরায় বিজয়ী হবেন। তিনি এজন্য সকাল-সকালে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার জন্য কর্মী-সমর্থকদের প্রতি আহবান জানান।
এদিকে বিজয়ের লক্ষ্যে একইভাবে হাল ছাড়েননি ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা, চকরিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এই আসনে হাতুড়ি প্রতীকে এমপি প্রার্থী হাজি আবু মো: বশিরুল আলম। তিনি বলেন, এবারে ভোটাররা পরিবর্তন চায়। তাই নৌকা- ধানের শীষকে বাদ দিয়ে একজন যোগ্য প্রার্থী হিসেবে হাতুড়িতে ভোট চান জনগনের। তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে মুক্তিযোদ্ধের চেনতায়, ধনী-গরীব পার্থক্য দুর করে সবাইকে নিয়ে এক সাথে কাজ করবেন।