সম্প্রতি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতিহার নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ড. কামাল হোসেন বলেছেন, পুলিশ ও সামরিক বাহিনী ছাড়া সরকারি চাকরিতে প্রবেশের কোনো বয়সসীমা থাকবেনা। গনমাধ্যমে ঐক্যফ্রন্টের এই বক্তব্য উঠে আসার পর দেশের তরুন প্রজন্মের মধ্যে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এ নিয়ে কথা বলতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ছাত্র রেজাউল আহমদে প্লাবন বলেন, সরকারী চাকুরিতে প্রবেশের বয়সসীমা না থাকা মানে আমরা মেধাবীরা পড়াশুনা শেষ করে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরা। ৪০/৫০ বছর বয়সে এসে সবাই চাকুরির পরীক্ষা দিবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী উম্মে ফাতেমা এ বিষয়ে বলেন, চাকুরির বাজার এমনিতে কঠিন । আরো কঠিন করে তোলা হবে। ঘুষের দর বাড়ানো ছাড়া এ নিয়মে নতুন কিছু দেখতে পাচ্ছি না।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের ছাত্র সালমান নূর দেশরিভিউ কে বলেন,
এখন আমরা যাদের কাছে কোচিং করতে যাচ্ছি তারাও পরীক্ষায় অংশ নিবে। আমাদের কথা চিন্তা করে ইশতেহার তৈরী করলে এমনতো হতো না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হাবিবুর রহমান চৌধুরী দেশরিভিউ কে বলেন, অনেক দেশে এ প্রথা চালু রয়েছে। তবে সেসকল দেশে জনসংখ্যা কম বলেই এ নিয়ম রাখা হয়েছে। ইউরোপের অনেক দেশে দেখেছি এই নিয়ম, কিন্তু সেই সকল দেশ চাকুরির জন্য লোক খুজে না পেয়ে এশিয়া বা অন্যান্য দেশগুলো থেকে জনশক্তি আমদানি করে। আমেরিকায় তো পুলিশে চাকুরি করার লোক খুজে না পেয়ে অন্যান্য দেশের নাগরিকদের চাকরি দিচ্ছে। বাংলাদেশে এ নিয়ম চালু হলে চাকুরির বাজার অনেক বেশী কঠিন হয়ে যাবে। তরুনদের মধ্যে বেকারত্বের চরম আঁকার ধারন করবে। সার্বিক পরিস্তিতিতে দেশের আত্মসামাজিক
অবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব দেখতে হবে। বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্ট এসব নিয়ে চিন্তা ভাবনা না করেই সস্তা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে ভোটের জন্য ।