জানা যায়, আসনটিতে নৌকার প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন ৫-এর অধিক প্রার্থী। এদের মধ্যে আলোচনায় ছিলেন আশেক উল্লাহ রফিক ও ড. আনসারুল করিম। তবে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন আশেক উল্লাহ রফিক। তাই নৌকা বঞ্চিত হয়ে গণফ্রন্টের ব্যানারে প্রার্থী হয়েছেন আনসারুল করিম।
ইতোমধ্যে মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছেন আনসারুল করিম। যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় কিছুটা বিঘ্ন হলেও পরবর্তীতে তা বৈধ বলে ঘোষণা করে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন।
দলীয় সূত্র বলছে, দল যাকে মনোনয়ন দেবে, অন্য প্রত্যাশীরাও তার পক্ষে কাজ করবেন। কিন্তু ড. আনসারুল করিম এ ক্ষেত্রে ভিন্ন পথে হেঁটেছেন। আর তা হল তিনি গণফ্রন্টের ব্যানারে প্রার্থী হয়েছেন। এ নিয়ে দলে চলছে নানা তর্ক-বিতর্ক। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বার বার হুঁশিয়ারি করে আসলেও তিনি তা মানেননি।
নির্বাচনী ইতিহাস বলছে, ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার মনোনয়ন পেয়েছিলেন ড. আনসারুল করিম। কিন্তু নিজ দলের কিছু বিশ্বাসঘাতকের কারণে সামান্য ভোটের ব্যবধানে হেরে যান তিনি।
মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সৈয়দুল কাদের বলেন, ‘ড. আনসারুল করিম জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কোনো পদে নেই। তিনি কর্মী ছিলেন। যেহেতু তিনি আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর নির্দেশনা অমান্য করে গণফ্রন্টের প্রার্থী হয়েছেন, তাহলে আমরা মনে করছি তিনি এখন আওয়ামী লীগের কেউ নন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণফ্রন্টের প্রার্থী ড. আনসারুল করিম বলেন, ‘এখন এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না। পরে আপনাকে জানাব।’