শাহেদুল ইসলাম মনির ॥
গতকাল বুধবার বিকেল ৪ টা কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ৫ম তলা পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডের ৩০ টি বেড, কক্ষের মেঝে ছাড়িয়ে বারান্দায়ও চিকিৎিসা নিচ্ছে অনেক রোগী। ৩০ শয্যার পুরুষ ওয়ার্ডে ৭২ জন রোগী চিকিৎসা চলছে। এর চেয়ে করুন অবস্থা ৪ র্থ ও ৫ম তলা মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডের। ৪ র্থ তলার ৩০ জনের চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলেও রোগী রয়েছে ৮৯ জন। আর ৫ম তলার মহিলা ও শিশু ওযার্ডে ৪০ জন রোগীর সেবার ব্যবস্থা থাকলেও ৯২ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। শুধু ৪ র্থ কিংবা ৫মতলা নয় ২৫০ শয্যার কক্সবাজার সদর হাসপাতালে বুধবার ৫ শতাধিক রোগী চিকিৎসাধীন ছিল। আর এত
রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। একই সাথে চিকিৎসা সেবা, খাবার ও পরিবেশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সেবা প্রার্থীরা।
গতকাল (বুধবার) দুপুর ৪ টার সময় হাসপাতালে ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালে ১ম ,২য়, ৩য় তালায় রোগীদের ভীড় মোটামুটি থাকলেও ৪র্থ ও ৫ম তলায় রোগীর সংখ্যা দ্বিগুন। এমনকি ওয়ার্ডের বাহিরেও রোগী এত বেশি সেখানে জায়গার সংকুলন না হয়ে ওয়ার্ডের সামনে অনেক ফ্লোরে বেটসিট বিশিয়ে অনেক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে।
সদর হাসপাতালের দৈনিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ৪র্থ তলায় মহিলা ওয়ার্ডে বরাদ্দকৃত শয্যা সংখ্যা ৩০ জনের ভর্তি হয়েছে ৮৯ জন অতিরিক্ত ৫৯ জন ও ৫ম তলায় পুরুষ মেডিসেন ওয়ার্ডে বরাদ্দকৃত শয্যা সংখ্যা ৩০ জনের রোগী ভর্তি হয়েছে ৭২ জন অতিরিক্ত ৪২ জন ও ৫ম তলায় মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডের বরাদ্দকৃত শয্যা সংখ্যা ৪০ জনের, রোগী ভর্তি হয়েছে ৯২ জন অতিরিক্ত ৫২ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি ওয়ার্ডে সিটের বাহিরে রোগী দেখা গেছে।
এ বিষয়ে ৫ম তলায় চিকিৎসাধীন মনির নামের এক রোগী বলেন, গত দুইদিন ধরে মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছি। অতিরিক্ত রোগীর চাপের কারনে চিকিৎসক ও নার্সের সাথে কথা বলতে নানা সমস্যা হয়।
আরেক নারী রোগী জমিলা খাতুন বলেন, সিটের অভাবে নিতান্ত বাধ্য হয়ে মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছি। সিটের চেয়ে বড় সমস্যা সেবাও ঠিকমত পাচ্ছিনা।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মোহাম্মদ শাহীন আবদুর রহমান বলেন, হাসপাতালে নিয়মিত ধারনক্ষমতার দ্বিগুন রোগী চিকিৎসাধীন থাকে। লোকবল সংকট নিয়েও আমরা এই দ্বিগুন রোগীকে সেবা দিয়ে থাকি।