“কক্স টিভির প্রতিবেদন”( ভিডিও সহ) অন্য রকম সমুদ্র সৈকত ইনানী পাথুরে বীচ’
রিপোর্ট : শাহজাহান চৌধুরী শাহীন
সমুদ্রের কথা মনে হলে, চোখের সামনে ভেসে উঠে, নীলছে নোনা জল।কক্সবাজারের জমকালো অভুতপূর্ব সৈকতগুলো, প্রতি বছর, কাছে টানে পর্যটকদের । অন্য সব বীচ থেকে আলাদা একটি সৈকত, ইনানীর প্রবাল পাথুরে বীচ।
কক্সবাজার শহর ছেড়ে মেরিন ড্রাইভ সড়কের প্রায় বিশ কিলোমিটার দক্ষিণে আরেক আকর্ষণীয় সৈকত ইনানী। সৈকতের তীর ঘেঁষে রয়েছে ছোট আর মাঝারি আকৃতির ঝাউগাছ। ইনানী সৈকতে রয়েছে বিস্তীর্ণ প্রবাল পাথর। সমুদ্র থেকে ভেসে, বেলাভূমিতে জমা হয়েছে এই পাথর। চমৎকার ছিমছাম, নিরিবিল ইনানী সৈকতে, প্রবাল পাথরের উপর দাড়িয়ে সাগর দেখতে আনন্দ পান, পর্যটকরা।
ঢেউগুলো প্রবালের গায়ে আঘাত লেগে পায়ের কাছে আচঁড়ে পড়ে। সাদা জলের তলায় দেখা যায় বালুর স্তর। বিস্তীর্ণ বালুকা বেলায়, ছুটে বেড়ায় লাল কাঁকড়ার দল।
একদিকে মেরিন ড্রাইভ সড়ক, অন্যদিকে সাগর আর পাহাড়। মাঝে মাঝে দেখা মিলবে, সারি সারি জেলের নৌকা । কক্সবাজার শহর থেকে, ইনানী সৈকতে যাত্রা পথটি আরো রোমাঞ্চকর ।
ইনানী সৈকতের প্রায় প্রতিটা পাথরই নানান ধরনের। কত বছরের পুরনো সে পাথর! আর তাতে মিশে আছে, দেশি বিদেশী পর্যটকদের কত স্মৃতি! আর মুহুর্ত। পাহাড় আর সাগরের মিতালি, দু’চোখ জুড়িয়ে যাবে । উঁচু উঁচু পাহাড় আর উত্তাল সমুদ্রের ঢেউ নজর কাড়ে।
প্রতি বছর এখানে বিপুল সংখ্যক পর্যটক আসলেও, সে পরিমাণ সুযোগ সুবিধা বাড়েনি। নানান সমস্যায় ডুবে রয়েছে ইনানী সৈকত। লাইটিং এর অভাবে সন্ধ্যার পর, পুরো সৈকতে নামে অন্ধকার। নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ে পর্যটকরা। এরপরেও আসেন পর্যটক।
পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বক্ষনিক নিয়োজিত থাকেন ট্যুরিস্ট পুলিশ।