খরুলিয়া বাজারে অভিনব কায়দায় প্রতিনিয়ত দোকান চুরি।
শাহীন মাহমুদ রাসেল:কক্সবাজার সদরের খরুলিয়া বাজারে চারজন পাহারাদার থাকা সত্বেও প্রতিনিয়ত চলছে দোকান চুরি। একেরপর এক চুরির কারণে দোকানদারদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে পড়েছে। পাহারাদার থাকা সত্বেও চুরির ঘটনা ঘটায় জনমনে চোর আতংক বিরাজ করছে।
প্রতিনিয়ত সমস্যায় জর্জরিত হচ্ছেন এই বাজারের ব্যবসায়ীরা। তারা চান গঠনতন্ত্র মোতাবেক সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত নতুন কমিটি দায়িত্বভার গ্রহণ করুক। চট্রগ্রাম দক্ষিণ অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী কক্সবাজার সদর উপজেলার বড় গরুর হাট বসে খরুলিয়া বাজারে। এই বাজারের দোকানের সংখ্যা প্রায় দুই শতাধিক। সমিতির সদস্য সংখ্যা ১৬ জন। বাজারের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য অনেক যুগ আগে গঠিত হয় বণিক সমিতি। দীর্ঘদিন সুনামের সাথে এই সমিতি কাজ করে আসছে। কিন্তু ২০১৬ সালের ৬ মে সর্বশেষ নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ ২০১৮ সালের মে মাসে শেষ হয়েছে। সেই থেকে আজ অব্দি মেয়াদ পার হয়ে গেলেও কোন প্রস্তুতি নেই নতুন কমিটি গঠনের। নৈশ পাহারাদার থাকা সত্বেও ফলে অরক্ষিত বাজারে প্রায়শ চুরি হচ্ছে। ঘটছে আইন শৃংখলার অবনতি। রাতে যারা বাজারের নিরাপত্তা প্রহরীর কাজ করেন তাদের কাছে ব্যবসায়ীরা জিম্মি, তাই তাদের দোকান চুরি হওয়া সত্বেও ব্যবসায়ীরা কিছু বলার সাহস পাইনা। সমিতির কাছে কোন বিষয়ে প্রতিকার চাইতে গেলে তারা বলে দিচ্ছেন সমিতির সবাই নিষ্ক্রিয়, ডাকলেও ক্যাশিয়ার আজিম ছাড়া কাউকে পাওয়া যায়না।
ক্ষমতাধর কেউ কিছু বলতে চাইনা, যেহেতু তারা কমিটির দায়িত্বে নেই বিধায় এটা তাদের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না। ফলে দাপ্তরিক স্বাভাবিক কর্মকান্ড চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ বিষয়ে খরুলিয়া বাজার বণিক সমিতি ক্যাশিয়ার নুরুল আজিম বলেন ২০১৬ সালের কমিটি হওয়ার পর থেকে তাদের তেমন দেখা যায়না, তারপর থেকে আমাদের কমিটির অন্য সদস্যরা নিষ্ক্রিয়। ডাকলেও তাদের কোন কাজে কর্মে পাওয়া যায় না। সমিতির কর্মকান্ডকে চলমান ও গতিশীল রাখতে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটির দায়িত্বভার গ্রহণের কোন বিকল্প নেই।
কিন্তু নেই খরুলিয়া বাজারের ম্যানেজিং কমিটির কোন মাথাব্যাথা। তাই খরুলিয়া বাজারের ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা প্রদানে খরুলিয়া বাজারের সচেতন ব্যবসায়ীরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এবং তদন্তের মাধ্যমে ওই ঘটনার সাথে জড়িত কু-চক্রি মহলদেরও বের করার দাবী জানান।