চকরিয়া অফিসঃ
চকরিয়ার মাহামুহুরী নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে চকরিয়া গ্রামার স্কুলের ৫ মেধাবি শিক্ষার্থীর অকাল মৃত্যুর ঘটনায় নিহতদের স্মরণে ৪দিনের শোক কর্মসূচির ২য়দিন গতকাল ১৭জুলাই (মঙ্গলবার) দুপুর ১২টায় গ্রামার স্কুল মিলনায়তনে শিক্ষার্থীদের নিয়ে পবিত্র খতমে কুরআন, তাহলীল, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্কুলের উপাধ্যক্ষ নূর মোহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া এডুকেয়ার ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশীদ, অধ্যাপক রিদুয়ানুল হক, স্কুলের শিক্ষক মো: শহিদুল ইসলাম, নুরুল আবছারসহ শিক্ষক-শিক্ষিকাগন ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। দোয়া মাহফিলে ছাত্রদের নিয়ে স্কুলের শিক্ষক মাওলানা আরশাদ হোসাইন এবং ছাত্রীদের নিয়ে শিক্ষক মাওলানা ওমর আজম পৃথক পৃথক মুনাজাত পরিচালনা করেন। মুনাজাতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে কান্নার রোল পড়ে যায়। প্রিয় সহপাঠী ও শিক্ষার্থীদের হারিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ছাত্ররা। এসময় শিক্ষক-শিক্ষিকা, মাধ্যমিক শাখার সর্বস্তরের শিক্ষার্থীসহ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদের কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে আরো দুইদিন শোক কর্মসূচির আওতায় আজ বুধবার ও কাল বৃহস্পতিবার নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনায় খতমে কুরআন এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত হবে। অন্যদিকে অন্যান্য ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রণব কুমার দে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
একইদিন উপজেলা ও পৌরশহরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে চকরিয়া গ্রামার স্কুলের ৫ মেধাবি শিক্ষার্থীর স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। অপরদিকে চকরিয়া গ্রামার স্কুলসহ উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দলে দলে গিয়ে ৫ মেধাবী শিক্ষার্থীদের কবরে গিয়ে জিয়ারত করেছেন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার ১৪জুলাই বিকালে মাতামুহুরী নদীর চরে ফুটবল খেলে গোসল করতে নামে চকরিয়া গ্রামার স্কুলের ৭/৮জন শিক্ষার্থী। এতে ৫জন ডুবে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। বাকিরা সাঁতরিয়ে কূল ধরে প্রাণে বেঁচে যায়। নিখোঁজদের সন্ধ্যার পর থেকে একের পর এক সন্ধান মেলে। সর্বশেষ রাত সাড়ে ১২টার দিকে উদ্ধার অভিযান শেষ করা হয় প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের ছেলে অরভির লাশ উত্তোলনের মাধ্যমে। নিহত শিক্ষার্থীরা হলেন-দশম শ্রেণির এমশাদ, অরভি, ফারহান, তূর্ণ ও অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মেহেরাব।