
নিহতের চাচাতো ও ইউপি সদস্য শেখ কামাল উদ্দীন জানান, চেয়ারম্যানের ভাতিজা মনসুর ও তার শ্যালিকা মোটর সাইকেল যোগে সকাল বেলা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। ওইসময় বাহাদুল্লাহ’র ছেলে ও নিহতের ভাতিজা বেলাল উদ্দিন পেছন থেকে অশালীন মন্তব্য করে। এনিয়ে বেলালের সাথে জালালের বাকবিতান্ডা ও মারামারি হয়। পরে মনসুর ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। বিষয়টি মনসুর গিয়ে তার স্বজনদের জানায়। বিকেল ৪ টায় চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তার স্বজনরা বেলালের বাড়িতে যায়। সেখানে বেলালকে না পেয়ে তার চাচাকে ব্যাপক মারধর করে।
আহতবস্থায় আবছারকে চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত গাড়িতে করে নিয়ে যায়। মারধরে তিনিসহ আরো পাঁচজনও আহত হয়েছেন। তবে তাকে হাসপাতালে না নিয়ে বাংলাবাজার এলাকায় নিয়ে ফেলে রাখে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল নিয়ে যাই। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
এদিকে চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন দাবি করেন, মনসুর ও তার শ্যালিকাকে ইভটিজিং করেছে শেখকামালের ভাইপো। আর উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় মনসুর বেদড়ক মারধরও করা হয়। বিষয়টি সুরাহা করার জন্য চেয়ারম্যান জসিম কয়েকদফা শেখ কামালকে ফোন করনে। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেনি। পরে বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়ার জন্য চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু সেসময় বেলাল, জালাল ও কালাপুতুরে নেতৃত্বে ২০/৩০ জন যুবক তাদের উপর হামলার চেষ্টা করে। পরে উভয় পক্ষের হাতাহাতি হয়। এতে গণধোলাইয়ের শিকার হয়ে:হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন খন্দকার বলেন, খুরুশ্কুলে একটি হত্যার ঘটনা ঘটেছে। তবে কি কারনে, কেন হত্যা করা হয়েছে এ বিষয়ে এখনো জানা সম্ভব হয়নি। আমরা হ্ত্যার কারন জানার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে আটক করেছি। নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।