আজ, শুক্রবার | ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



চকরিয়ায় ছিনিয়ে নেওয়া ১১টি মহিষ উদ্ধারে সহায়তা করে মিথ্যাচারের শিকার চেয়ারম্যান পরিবার

চকরিয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নে মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়ে দুবৃর্ত্ত কর্তৃক ছিনিয়ে নেওয়া ১৮টি মহিষের মধ্যে দুই দফায় ১১টি মহিষ উদ্ধার করা হয়েছে। এব্যাপারে থানায় মামলা রুজু হলেও গতকাল রোববারন পর্যন্ত অবশিষ্ট সাতটি মহিষ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে, চকরিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, পুলিশের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

চকরিয়া থানা পুলিশ জানায়, চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বরুমছড়া এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম গত ৭ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়া থেকে ১৮টি মহিষ ক্রয় করে ট্রাকভর্তি করে আনোয়ারার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথিমধ্যে রাত পৌণে দশটার দিকে মহিষবোঝাই ট্রাকটির গতিরোধ করে চট্টগ্রাম -কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার ডুলাহাজারার ডুমখালী রাস্তার মাথা এলাকায় সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা গাড়ি থেকে ১৮টি মহিষ, ৭টি মোবাইল ও নগদ ৭৫ হাজার টাকা লুট করে।
এই ঘটনায় পরদিন ৮ ফেব্রুয়ারি চকরিয়া থানায় একটি মামলা রুজু করে মহিষ মালিক আব্দুর রহিম। এই ঘটনায় ওইদিন ৩টি মহিষসহ একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

চকরিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, শনিবার বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের উলুবুনিয়া এলাকা থেকে একটি এবং সন্ধ্যার দিকে একই ইউনিয়নের ডুমখালীস্থ সংরক্ষিত বনের ভেতরে দুবৃর্ত্তদের আস্তানা থেকে আরও সাতটি লুন্ডিত মহিষ উদ্ধার করা হয়েছে। আগে উদ্ধার তিনটিসহ এ নিয়ে মোট ১১টি মহিষ উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে একটি মহিষ উদ্ধারের ঘটনাস্থল লামার ফাঁসিয়াখালি ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন চৌধুরীর বাড়ির উঠান দেখানোর ঘটনাকে স্থানীয় কতিপয় মহলের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন ইউপি চেয়ারম্যানের পরিবার।
রোববার বিকেলে ডুলাহাজারা উলুবনিয়াস্থ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে খোলাসা করেছেন চেয়ারম্যান নুর হোসেন চৌধুরীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম সজিব। তিনি বলেন, গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে মোটর সাইকেল চালিয়ে আমরা দুই ভাই চিংড়ি ঘের থেকে ফিরছিলাম। ওইসময় মোটর সাইকেলের লাইটের আলোতে আমার বাড়ির সামনে রাস্তায় দেখতে পাই, কয়েকজন লোক একটি মহিষ নিয়ে টানাহেঁচড়া করছে। আমর বাড়ির কাছাকাছি চলে আসলে মহিষটি ফেলে টানাহেঁচড়া করা লোক গুলো পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী কয়েকজনের সহায়তায় রাস্তা থেকে মহিষ উদ্ধার করে পুলিশ প্রশাসনকে হস্তান্তর করে সহযোগিতা করলেও স্থানীয় কতিপয় মহল পরিকল্পিত ভাবে এই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করে আমাদের পরিবারকে কলুষিত করার অপচেষ্টা করেছে। আমরা এইধরনের অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

আশরাফুল ইসলাম সজিব বলেন, আমার পরিবারের কেউ কোনদিন খারাপ কাজে জড়িত ছিলনা এবং এখনো নেই৷ আমাদের পরিবার শুধু চকরিয়া নন, পুরো কক্সবাজার জেলায় একটি বর্ণাঢ্য ইমেজের অধিকারী আওয়ামী পরিবার। আমার দাদা মরহুম মফজল আহমদ চৌধুরী চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের দুইবারের চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর আমার জেঠা মরহুম কামাল হোসেন টানা চারবারের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি বৃহত্তর চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগেরও সভাপতি ছিলেন। আমরা বাবা নুরুর হোসেন চৌধুরী নৌকা প্রতীকে লামা উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে সততা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া আমার চাচা মরহুম জামাল হোছাইন দীর্ঘদিন ডুলাহাজারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। অপর চাচা জমিল হোছাইন চৌধুরী বর্তমানে ডুলাহাজারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছেন।