আজ, শনিবার | ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



চকরিয়ার ভেওলায় দিনমজুরের বসতভিটা দখলের অভিনব ফাঁদ, ভুক্তভোগীদের আর্তনাদ

চকরিয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের চকরিয়ায় এক অসহায় দিনমজুর রিকসা চালক পরিবারের দীর্ঘ ২৪ বছরের ভোগদখলীয় বসতভীটার জমি জোরপূর্বক দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। জবর দখলে ব্যর্থ হয়ে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। উপজেলা মাতামুহুরি পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড কালাগাজী সিকদার পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গত এক সপ্তাহ ধরে এ দখল চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগ করেন ভূক্তভোগী বসতভিটার মালিক মৃত জকির আহমেদের ছেলে মো: হোসেন। উক্ত জমি দখলের মিশনে নেমেছে এই এলাকার মোহাম্মদ তাহেরের ছেলে মোঃ ইলিয়াছ।
ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা যায়, পূর্ব বড় ভেওয়ালা  ৫নং ওয়ার্ড কালাগাজী সিকদার পাড়া এলাকায় দীর্ঘ ২৪ বছর ভোগদখলীয় জমিতে বসতভিটা করে বসবাস করে আসছেন। গত কয়েক বছর আগে এ বসতভিটা দখল করার চেষ্টা করেছে একই এলাকার মোঃ তাহের এর ছেলে মোঃ ইলিয়াস নামে এক নব্যভূমিদস্যু। এবিষয়ে মো: হোসেন বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে অভিযোগটি মাতামুহুরি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে তদন্তের নির্দেশ দেন। অভিযোগের আলোকে ইলিয়াসের কাছে কোন ধরণের কাগজপত্র দেখাতে না পারায় মো: হোসেনের পক্ষে রায় দেন। তার পরেও ওই জমি থেকে উৎখাত করার জন্য বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকী অব্যাহত রেখেছে।
তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে নব্যভূমিদস্যু ইলিয়াস গং একদল ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে দেশীয় অস্ত্র সাজে সজ্জিত হয়ে জোরপূর্বক উক্ত বসতভিটা দখলের চেষ্টা চালায়। এর প্রতিবাদ করায় অসহায় পরিবারকে হত্যা, গুম, নারী নির্যাতনসহ বিভিন্ন মামলায় জড়ানোর হুমকী দেয়।
ওই নব্য ভূমিদস্যুদের কবল থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন অসহায় পরিবার।
ইলিয়াসের কাছে কোন ধরণের কাগজপত্র দেখাতে না পারায় মো: হোসেনের পক্ষে রায় দেন। তার পরেও ওই জমি থেকে উৎখাত করার জন্য বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকী অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে, প্রতিপক্ষ মো: আবু তাহেরের পুত্র মো: ইলিয়াছ দাবী করেছেন, তিনিও বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি মাতামুহুরি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ আবদুল জাব্বারকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। অভিযোগের আলোকে স্থানীয় শালিসে তার পক্ষে রোয়েদাদ প্রচার করেন এবং তার ক্রয়কৃত ১২কড়া জমির মধ্যে আরো সাড়ে ৮কড়া জমি বেদখলে রয়েছেন জানিয়ে উক্ত জমি তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য রায়ও প্রচার করেন।
চকরিয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) তৎকালীন মাতামুহুরি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আবদুল জাব্বার জানান, থানার মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর স্থানীয় শালিসে বিষয়টি সমাধান হওয়ার কথা। এরপরও আইনশৃংঙ্খলা পরিপন্থি কোন কর্মকান্ড করতে চাইলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। জমি-জমার বিরোধ অব্যাহত থাকলে প্রয়োজনে আদালতের স্বরনাপন্ন হওয়া যায়।