গ্রেফতার জাকের হোসাইন (২৭) লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চর আফজাল গ্রামের বাহার উদ্দিনের ছেলে। তবে তারা থাকেন রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা এলাকায়।
পিবিআই জানিয়েছে, গৃহবধূকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে জেল খাটছে তার স্বামী ও ভাসুর। কিন্তু পিবিআইয়ের তদন্তে পাওয়া গেছে, ওই গৃহবধূর সাবেক প্রেমিকই তাকে খুন করেছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক (মেট্রো) সন্তোষ কুমার চাকমা জানান, ঘটনার রাতে সুপ্তির ফ্ল্যাট থেকে এক যুবককে বের হতে দেখেছিলেন প্রতিবেশিরা। ওই যুবককে টার্গেট করেই তদন্ত শুরু করে পিবিআই। পরে জানা যায়, বিয়ের আগে সুপ্তি একজনের সঙ্গে প্রেম করতেন। তদন্তে জানা যায়, সেই যুবকই ঘটনার রাতে ফ্ল্যাট থেকে বের হওয়া যুবক। এ তথ্য পাওয়ার পর জাকেরের অবস্থান শনাক্ত করে বৃহস্পতিবার ঢাকার নিশ্চিন্তাপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে পিবিআই টিম। পরে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে জাকের আদালতে জবানবন্দি দেন।
সন্তোষ চাকমা বলেন, রাঙামাটিতে সুপ্তি এবং জাকেরের বাসা পাশাপাশি। জাকের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, ২০১৪ সাল থেকে সুপ্তির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৮ সালে তারা গোপনে বিয়ে করে। চারমাস সংসার করার পর সুপ্তি তাকে তালাক দিয়ে বাসুদেবকে বিয়ে করে। কিন্তু গোপন নম্বরের মাধ্যমে মোবাইলে তাদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। ঘটনার রাতে বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে জাকের সুপ্তির বাসায় যায়। সেখানে পুরনো সম্পর্কের প্রসঙ্গ টেনে দু’জন ঝগড়া করে। ঝগড়ার একপর্যায়ে সুপ্তিকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে জাকের। পরে সুপ্তির দু’টি মোবাইল সেট নিয়ে পালিয়ে ঢাকায় চলে যায়। আমরা সেগুলো উদ্ধার করেছি।
জানা গেছে, গত ৪ নভেম্বর রাতে নগরীর ডবলমুরিং থানার পানওয়ালা পাড়ায় নাছিমা মঞ্জিলের একটি ফ্ল্যাট থেকে গৃহবধূ সুপ্তি মল্লিকের (২২) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর তার বাবা সাধন মল্লিক বাদি হয়ে সুপ্তির স্বামী বাসুদেব চৌধুরী ও ভাসুর অনুপম চৌধুরীকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। এরপর মামলার তদন্তভার নেয় পিবিআই।