মোঃ নাজমুল সাঈদ সোহেল
চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
ক্সবাজারের চকরিয়ায় ব্যবসায়ী সমিতি ও মার্কেট মালিকদের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সাহরি খাওয়ার পর কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দোকান খুলে বসায় এবার প্রশাসন সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাত সাড়ে ৪টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের চালানো এই অভিযানে নির্দিষ্ট সময়ের আগে এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ১৭টি মামলায় নগদ ১ লাখ ২৪ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। একই সঙ্গে তিনজন দোকান কর্মচারীকেও আটক করা হয়।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ শামসুল তাবরীজ এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন। এ সময় থানার একদল পুলিশও আদালতকে সহায়তা দেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, স্বাস্থ্যবিধি না মানা ছাড়াও সরকারের নির্দিষ্ট সময়ের আগে দোকান খুলে ব্যবসা করায় চকরিয়া পৌরশহরের চিরিঙ্গা এবং চিরিঙ্গা ইউনিয়নের পাইকারি মার্কেট, কাপড়ের দোকান, দর্জিপল্লী, জুয়েলারি দোকান, ঢেউটিনের দোকানসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে এই অভিযান চালানো হয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ১৭টি মামলা রুজু এবং তাদের কাছ থেকে নগদ ১ লাখ ২৪ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। আটক করা হয় তিনজন কর্মচারীকে। এ ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে অপ্রয়োজনীয় জমায়েত ও আড্ডাস্থল ছত্রভঙ্গ করা হয়।
আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, সরকারি আদেশ অমান্য করে নির্দিষ্ট সময়ের আগে দোকান খুলে ব্যবসা পরিচালনাসহ স্বাস্থ্যবিধি না মানায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তাছাড়া কয়েকদিন ধরে সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছিল, সাহরি খাওয়ার পর ভোররাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত কিছু বিপণিবিতানে দোকান খুলে ব্যবসা করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। সেই অভিযোগের সত্যতা দেখতে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এই অভিযান নিয়মিত অব্যাহত থাকবে বলেো জানান তিনি।