চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়ন ও লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন দিয়ে প্রবাহিত ছড়াখাল পূর্বনলবিলা ভরাখালেন পানি চলাচল পথ মাটি দিয়ে ভরাট করে জবর দখলে নিয়ে করোনার মহামারির লকডাউন অবস্থায় প্রকাশ্য দিবালোকে বাণিজ্যিক দোকান ঘরে গড়ে তুলছে। এনিয়ে ক্ষোভে ফুঁসে উঠছে স্থানীয় বিক্ষুদ্ধ জনতা। তারা অতিদ্রুত সময়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার অফিসার ইনচার্জ, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বনবিভাগসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পূর্বনলবিলা ও কাকারার বিলে প্রায় ৬শত একর জমি রয়েছে। ওই জমির চাষাবাদের জন্য ব্যবহার হয় পূর্বনলবিলা ভরাখালের পানি। কিন্তু এসব জবর দখলকারীরা মৌসুম ওয়ারি চাষাবাদে নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।পূর্বনলবিলা ভরাখালটি কাকারা, পুলেরছড়া, শাহ ওমরনগর, জাম্মুকাটা বিল, সিকদারের খোলা, বুড়িচ্ছাখোলা, নলবিলা ও বারআউলিয়ানগর হয়ে বানিয়ারকুম, কৈয়ারবিল ও লক্ষ্যারচর হাজী পাড়া হয়ে মাতামুহুরী নদীতে যুক্ত হয়েছে। এই খালে যেমনি বন্যার পানি অপসারণ হয়, তেমনি ১০ হাজারের অধিক মানুষ খালটি ব্যবহার করে। স্থানীয় ওমর আলীর পুত্র নুরুল আলম,মৃত ছরওয়ার আলমের পুত্র সুমন, বদরুদ্দোজার পুত্র জয়নাল, মনজুর সওদাগর ও ইদ্রিছ ড্রাইভারসহ একটি সংঘবদ্ধচক্র ইট বালি, কংকর ও লোহার রড স্তুপ করে ৭টি দোকান নির্মান করছে। এরপূর্বেও বঙ্গবন্ধু একতা সংঘ নাম ব্যবহার করে দোকানঘর নির্মানের পর চা ও মুদির দোকানের জন্য ভাড়া দিয়েছে। খালের ওই অংশে বিগত ১৯৮৭ সন থেকে একটি ঘাট ছিল। ওই ঘাট দিয়ে মানুষ নৌকা পারাপার করতো, তাও দখলে নিয়েছে ভূমিদস্যুরা। সামষ্টিক বিষয় নিয়ে ইতিপূর্বেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে সরকারের ঘোষিত নদী ব্যবহার ও নীতি অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন এবং শতশত লোকজন, কৃষক ও মৎস্য চাষীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিও পালন করেন।
পূর্বের ফাইল ছবি