করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কুতুবদিয়া প্রশাসনের বিভিন্ন পদক্ষেপ জনমনে প্রশংসনীয় হয়েছে। এ দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া এখনো করোনার থাবা থেকে মুক্ত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা প্রশাসন রাতদিন চেষ্টা করছে এ এলাকা করোনামুক্ত রাখার জন্য। মাঠে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পাশাপাশি কাজ করতেছে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে নেওয়া ইউএনও স্যারের স্বেচ্ছাসেবক টীম।
তবে জানা যায় কিছু স্বার্থান্বেষী মহল উপজেলা প্রশাসনের কাজকে বিকৃত করার জন্য বদনাম রটাচ্ছে।
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ঠেকাতে কুতুবদিয়া উপজেলা প্রশাসন একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে। এটি ইতোমধ্যে ওই উপজেলায় প্রশংসনীয় উদ্যোগ হিসেবে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে।
কুতুবদিয়ায় থানা পুলিশ, ৪০ আনসার-ভিডিপি সদস্য ও ১৩০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে এ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন।
কুতুবদিয়ার ২০ টি জায়গায় বহিরাগতদের টেকাতে এই স্বেচ্ছাসেবকেরা কাজ করে যাচ্ছেন। এ দ্বীপের পাশের পেকুয়া, মাতারবাড়ি মহেশখালী ও বাঁশখালী উপজেলায় করোনার ঝুঁকি থাকলেও এখনো কুতুবদিয়া শতভাগ করোনামুক্ত রয়েছে।
এ সুযোগে কুতুবদিয়ার কিছু লোকজন স্বেচ্ছাসেবকদের ডাকাত তকমা লাগিয়ে দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিভিন্ন হামলা ও মামলা ভয় দেখিয়েছেন কুতুবদিয়ার কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল।
কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিয়াউল হক মীর এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কুতুবদিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন ও জন সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে দিক নির্দেশনা দিয়ে তাদেরকে পরিচালিত করা হচ্ছে।
স্বেচ্ছাসেবকেদের মহৎ এই কাজকে অনেকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন ও মিথ্যে মামলার ভয় দেখিয়ে হয়রানি করছে। তাদের তাদের সুষ্ট তদন্তের আওতায় এনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন কুতুবদিয়ার সচেতন লোকেরা।