চকরিয়া প্রতিনিধি
করোনা নিয়ে যখন বিশ্ব জুড়ে আতংক বাংলাদেশেও এই মহা-দূর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার যখন নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে তখন তার বিপরীত হয়ে চকরিয়া উপজেলায় চাল ব্যবসায়ী সমিতির সিন্ডিকেটের বেপরোয়া বানিজ্যে সাধারণ ক্রেতা খেটে খাওয়া মানুষের নাভিশাপ হয়ে উঠেছে। রাতের আধারে ডিলারদের বরাদ্দ নিজের গুদামে এনে সরকারি প্যাকেট খোলে বিভিন্ন বস্তায় বাজারজাত করা হচ্ছে বলে এমন গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগ করেছেন কয়েকজন চাল ক্রেতা । বি এস এম গ্রুপের বস্তার চাউলে বেশির ভাগ পোকা মাকড় রয়েছে।
রবিবার সকালে সরজমিনে চাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মালীকানাধীন সোনালী আটো রাইসমিলে গেলে দেখা যায়, প্রতিটি চাউলের বস্তা ৫০ কেজি লেখা থাকলে ও ওজন দিয়ে দেখা যায়, বস্তায় ২/৩ কেজি করে কম চাউল থাকে, চাউল কেন কম থাকে জানতে চাইলে তিনি কোন সঠিক উত্তর দিতে পারে নাই। খাদ্যবান্ধব চাউল ৩০কেজি বস্তা এসব বস্তা খুলে অন্যবস্তা করে বিভিন্ন জায়গায় সিন্ডিকেটের মাধ্যে বিক্রি করে আসছে।
বর্তমানে বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে নভেল-১৯ করোনাভাইরাস-এর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশেও এর সংক্রমণ দেখা দিয়েছে এবং এর প্রতিরোধে সরকার বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গত ২৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য ওএমএস খাতে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি চালের মূল্য ৩০ টাকার স্থলে ১০ টাকা নির্ধারণ করার ঘোষণা দেন।
তৎপ্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয় ও খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত ওএমএস খাতে চালের মূল্য প্রতি কেজি ১০ টাকা নির্ধারণ করে। অতৎপর খাদ্য মন্ত্রণালয় সরকার কর্তৃক জারিকৃত সাধারণ ছুটির কারণে গৃহে অবস্বথানকারী সাধারণ শ্রমজীবি, দিনমজুর, রিক্সাচালক, ভ্যানচালক, পরিবহণ শ্রমিক, ফেরিওয়ালা, চায়ের দোকানদার, ভিক্ষুক, ভবঘুরে ও অন্যান্য সকল কর্মহীন মানুষের জন্য ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির কার্যক্রম গ্রহণ করে।
চাল ব্যবসায়ী সমিতির সিন্ডিকেট মহামারী করোনাভাইরাস কে পুজিঁ করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা, এ অসাধূ ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রনের জন্য উপজেলা প্রশাসন থাকলেও কিন্তুু তা অকার্যকর করে রেখেছে কিছু অসাধূ কর্মকর্তা মিলে টাকার বিনিময়ে।
সিন্ডিকেটের অভিযোগের বিষয়ে চকরিয়া চালমিল ব্যবসায়ীর সমিতির সভাপতি ফজল করিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাংবাদিকরা অনেক কিছু লিখবে তাতে আমার কিছু যায় আসে না।
প্রশাসন ঠিক থাকলে সব ঠিক প্রশাসনের প্রতিটি দপ্তরে ম্যানেজ করে এই ব্যবসা করি। তার প্রমাণ হিসাবে গত ২১ তারিখ সোনালী আটো রাইচ মিল এর মালিক ও চাল ব্যবসায়ীর সভাপতি ফজল করিম কে ভ্রাম্যান্য আদালত ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
কিন্তু একই সমিতির সদস্য ছরোয়ার আলম মালিকানাধীন রমজান আলী ষ্টোরকে ১ লক্ষ ৫০হাজার টাকা জরিমানা করেছে এতে বুঝতে পারেন আমার সাথে প্রশাসনের কি রকম সম্পর্ক ।
চাউল মালিক সমিতির সিন্ডিকেট এর বিষয়ে চকরিয়া উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা বলেন, চকরিয়া উপজেলা খাদ্য গুদামে প্রচুর চাল মজুদ আছে কৃতিম সংকট তৈরি করার কোন সুযোগ নাই। সরকার নতুন করে আরো ৩৫হাজার মেট্রিক টন চাল বাজারে দিবে। এই নিয়ে উপজেলায় খেটে খাওয়া মানূষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।