
কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের হোসেনপুর এলাকায় শনিবার দিনগত রাত ৩টার দিকে বৈরী আবহাওয়ায় তার লাশ দাফন করা হয়।
মাজেদের লাশ অপসারণ না করা হলে কবর থেকে তুলে মেঘনা নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন সোনারগাঁও উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার ওসমান গনি।
ইউএনওর সঙ্গে দেখা করে বিকাল ৩টার মধ্যে লাশ অপসারণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে ওসমান গনি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জামান মোল্লা জানান, সোনারগাঁওয়ের পবিত্র ভূমিতে খুনি মাজেদের লাশ রাখতে দেয়া হবে না। এ ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। প্রশাসন এগিয়ে না এলে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে কবর থেকে লাশ তুলে মেঘনা নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হবে।
এদিকে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া ও যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জি. মাসুদুর রহমান মাসুম জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে খুন ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যাকারী খুনি মাজেদের কবর সোনারগাঁওয়ের মাটিতে কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
তারা বলেন, খুনি মাজেদের গ্রামের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন এলাকায়। আমরা জানি সেখানে তার লাশ দাফন করার কথা। এটি কীভাবে এখানে এনে দাফন করা হলো? কারা এর সঙ্গে জড়িত, সেটি খুঁজে বের করতে হবে এবং তাদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
‘আমরা প্রশাসনের কাছে আবেদন করছি, এই খুনির লাশ যেন সোনারগাঁও থেকে দ্রুত অপসারণ করা হয়। অন্যথায় সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিলে তার লাশ কবর থেকে তুলে মেঘনা নদীতে ভাসিয়ে দেব।’