অসহায় মানুষ লিফলেট অার চায় না তাদের দরকার খাবার – এ কে এম রিদওয়ানুল করিম
এবার করোনার প্রতিষেধক নিয়ে জুভেনাইল ভয়েস ক্লাব জনসাধারণের পাশাপাশি বস্তিবাসীর দোয়ারে
নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ
জেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা ও সমাজ সেবামূলক অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জুভেনাইল ভয়েস ক্লাব এর উদ্যোগে করোনা মোকাবেলার প্রতিষেধক ও প্রতিরোধকমূলক মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, খাবার স্যালাইন, সেনিটাইজার নিয়ে বাংলা বাজারস্থ বস্তিববাসীর দোয়ারে দোয়ারে ছুটেছেন।
জনসাধরণের মাঝে দুর্দিনে এগিয়ে অাসার পাশাপাশি ২য় দিনে বস্তিবাসীর খোঁজ খবর নিয়ে ক্লাবের পক্ষ থেকে ২৫ মার্চ /২০ দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত কক্সবাজারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, সদর উপজেলা, লিংক রোড, বাংলা বাজার,পিএমখালি এলাকায় অসহায়, গরীব ও স্বেচ্ছাসেবকদের মাঝে এসব সামগ্রী বিতরণ করেন ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এ,কে,এম রিদওয়ানুল করিম। এসময় উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের কক্স ভিউ ড্যান্স এন্ড প্যাকেজ মিডিয়ার চেয়ারম্যান অাওয়ামীলীগ নেতা অাব্দুল হক, অালোর প্রতিভা মানবিক কল্যাণ ফোরামের জেলা শাখার সভাপতি ও জেভিসির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এস এম ডি মনির মিয়া।
কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি একেএম রিদওয়ানুল করিম বলেন, বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়া মহামারী আকারে ধারনকৃত করোনা ভাইরাস। এর
থেকে সাধারণ মানুষকে সচেতন ও এর প্রতিরোধমূলক নিরাপত্তার জন্য ক্লাবের কর্মসূচির অংশ হিসাবে বিভিন্ন প্রতিষেধক সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। জনসাধারণের পাশাপাশি এবার বস্তিতে বসবাসরতদের পাশে সাধ্য মত সহযোগীতার হাত বাড়িয়েছি। বস্তিবাসীরা কতই অসহায় হয়ে পড়ছে তা বস্তিতে না অাসলে বুঝতে পারতাম না। তারা লিফলেট চায় না তাদের দরকার এখন চাল, ডাল, তেলসহ খাবার জাতীয় জিনিস। সভাপতি ক্লাবটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের অসহায়, গরীব ও মেহনতি মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। অাগামীতেও এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন।তিনি খুব শীঘ্রই খাবার জাতীয় সামগ্রী নিয়ে অসহায়ের পাশে দাঁডাবেন। তিনি এসময় সমাজের বিত্তবান, প্রভাবশালী ব্যক্তি,সমাজসেবী সংগঠন ও এনজিওদের জাতির এমন চরম ক্রান্তিকালে মানুষের সাহায্যে এগিয়ে অাসার অাহবান জানান। প্রতিষেধক সামগ্রী গ্রহণকারী ব্যক্তিবর্গ জুভেনাইল ভয়েস ক্লাবের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানান। তারা বলছেন, এমন উদ্যোগ সত্যি প্রশংসাজনক।এভাবে অন্যান্য সংগঠনসমূহেরও এগিয়ে অাসা জরুরি বলে মনে করেন তারা।