চকরিয়া অফিস:
চকরিয়ায় মহামান্য হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বসতবাড়ি জবর দখলে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। চকরিয়া পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ডের নিজপানখালী মৌলভীরকুম বাজার এলাকায় ১১মার্চ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঘটেছে এ ঘটনা। বাংলাদেশ পুলিশের ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশদল পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এঘটনায় থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন ভূক্তভোগী ও হামলার শিকার পরিবারের মো: রহিম উদ্দিনের স্ত্রী সাকেরা বেগম (৪৫)। এতে বিবাদী করা হয়েছে একই এলাকার আবদুস সালামের পুত্র মো: বাহাদুর, মৃত আজিজুর রহমানের পুত্র নুরুল ইসলাম, মো: ইসলাম ও আবদুস সালামসহ অজ্ঞাত ৫/৬জনকে।
অভিযোগে জানাগেছে, বাদী সাকেরা বেগমের শ্বাশুর ও শ্বাশুরের পূর্ববর্তী মালিকগন বিগত ১৯৪৩ সন হতে নিজপানখালী মৌজার বিএস খতিয়ান নং ১৭৭, দাগ নং ৩১১ এর ২৪শতক জমিতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখলসহ বসবাস করে আসছেন। প্রতিপক্ষগন জমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি করলে স্থানীয়ভাবে থানা ও আদালতে একাধিক মামলা মোকাদ্দমার সৃষ্টি হয়। সর্বশেষ বাদীর বড় ভাশুর মো: হাশেম মনু গং বাদী হয়ে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে অপর আপীল মামলা নং ৪৪১/২০২০ দায়ের করেন। উক্ত মামলায় মহামান্য হাইকোর্ট নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। কিন্তু প্রতিপক্ষগন ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে ১১মার্চ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আকর্স্মিকভাবে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট শুরু করে। ওই সময় ভূক্তভোগী পরিবার বাংলাদেশ পুলিশের কন্ট্রোল রুমে ৯৯৯নম্বরে কল করে চকরিয়া থানায় ম্যাসেজ দিলে থানার অফিসার ইনচার্জের নির্দেশে উপপরিদর্শক হিরু বড়–য়ার নেতৃত্বে পুলিশদল ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। ঘটনার সময় প্রতিপক্ষ অভিযুক্তরা ঘেরা-বেড়া ভাংচুর চালিয়ে অন্তত ২০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন এবং বসতভীটা থেকে আরো ২৫ হাজার টাকার টীন ও কাঠ লুট করে নিয়ে যায়। হামলায় আহত হন বাদী সাকেরা বেগম (৪৫)। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ##