বার্তা পরিবেশক:
চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদারের বিরুদ্ধে চেকের মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা দিয়েছে আদালত। গ্রেফতারী পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও নিয়মিত থানায় যাওয়া আসা করে ওই চেয়ারম্যান। চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এ মামলাটি করেন চেয়ারম্যানের বাড়ির পাশ্ববর্তী বাসিন্দা কোনাখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউছুপের বাপেরপাড়া গ্রামের আবুল কালামের পুত্র এএইচএম শফিউল্লাহ।
বাদী জানিয়েছেন, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের খরচ নির্বাহের জন্য ২লাখ টাকা ধার নেন শফিউল্লাহ’র কাছ থেকে। তৎবিনিময়ে এনসিসি ব্যাংক চকরিয়া শাখায়। চেয়ারম্যান দিদারের নামীয় একাউন্ট থেকে শফিউল্লাহ’র নামে ২লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু দীর্ঘদিন পর্যন্ত একাধিক সময় পার হলেও টাকা ফেরৎ না দেওয়ায় ব্যাংক থেকে চেকটি ডিজ অনার করেন। এরপর চকরিয়া আদালতের সিনিয়র আইনজীবি এডভোকেট আনোয়ারুল আজিমের স্বাক্ষারে লিগ্যাল নোটিশও দেওয়া হয়। সর্বশেষ ভুক্তভোগি শফিউল্লাহ বাদী হয়ে চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সিআর মামলা নং ৮৪৯/১৮ দায়ের করেন। মামলার যাবতীয় তদন্তকাজ শেষে সত্যতা পাওয়ার পর গত ১৪ অক্টোবর/১৮ আদালতের স্বারক নং ১১৮৮/১৮ মূলে চেয়ারম্যান দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। বর্তমানে মামলাটি বিচার পর্যায়ে রয়েছে। ভূক্তভোগি এএইচএম শফিউল্লাহ জানান, তাকে মামলা তুলে নিতে চেয়ারম্যান দিদার নানাভাবে হুমকি ধমকি দেওয়া হচ্ছে। ইতিপূর্বে তার উপর কোর্ট সেন্টারেই হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, চেয়ারম্যান দিদারের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট থাকা সত্ত্বেও থানায় নিয়মিত আসা যাওয়া করে। তিনি বিজ্ঞ আদালত ও থানা প্রশাসনের কাছে আইনী সহায়তা চেয়েছেন।