গত ৩ ফেব্রুয়ারী’২০ইং চকরিয়া নিউজ ডটকম ও পত্রিকায়“চকরিয়ায় দাখিল পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র সংগ্রহে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ” শীর্ষক প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন কাল্পনিক ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। সংবাদের সাথে বাস্তবতার কোন মিলনাই। কিছু স্বার্থন্বৈষি মহল চকরিয়া শাহারবিল আনওয়ারুল উলুম কামিল মাদরাসা এবং মাদরাসা শিক্ষার মান ও ক্ষুন্ন করতে সংবাদ মাধ্যমে এসব মিথ্যাচার করা হয়েছে। যার আদৌ কোন সত্যতা পাওয়া যাবেনা। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে; গত ৩ ফেব্রুয়ারী’২০ইং তারিখ হতে অনুষ্ঠিত মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন দাখিল পরীক্ষায় চকরিয়া শাহারবিল আনওয়ারুল উলুম কামিল মাদরাসা থেকে বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষার্থী রয়েছে মাত্র ৩০জন। তাদের কাছ থেকে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী ৪০০ টাকা ফি নেওয়া হয়েছে। এর সাথে ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য প্রতি বিষয়ে ৫০ টাকা করে ৪বিষয়ে ২০০ টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও তাতে চকরিয়া শাহারবিল আনওয়ারুল উলুম কামিল মাদরাসা কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মোট ৩০ শিক্ষার্থীর জন্য মাত্র ১৫০ টাকা করে ধার্য্য করা হয়েছে। তন্মমধ্যে অত্র মাদরাসার পরীক্ষার্থী রয়েছে ১১জন। এখানে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যেভাবে অতিরিক্ত ফি আদায়ের কথা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ৩০জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য ১৫০ টাকা করে আদায় করা হলে মোট ৪,৫০০ টাকা হতো। অথচ: অত্র মাদরাসায় ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১০,০০০ টাকা। অত্র মাদরাসায় ২০১৯সালে শুধুমাত্র ব্যবহার পরীক্ষার জন্য খরচ হয়েছিল ১৩,৬৯৩ টাকা। এছাড়াও দাখিল মানতিক পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে মাত্র ৩৫০ টাকা করে এবং আংশিক পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বোর্ড নির্ধারিত ৪০০ টাকা নিয়ম থাকলেও তাতে নেয়া হচ্ছে মাত্র ২০০ টাকা করে। এরপরও ষড়যন্ত্রকারীরা মাদরাসার এসব অপপ্রচার ও মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ: চকরিয়া শাহারবিল আনওয়ারুল উলুম কামিল মাদরাসাটি পরীক্ষা কেন্দ্র হওয়ায় শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ সুবিধাও বেশি এবং মাদরাসার পক্ষ থেকে ব্যয়ও বেশি। পরিশেষে প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুদের যাচাই-বাচাই করে সংবাদ পরিবেশনের জন্য অনুরোধ করছি এবং প্রকাশিত উক্ত মিথ্যা সংবাদে প্রশাসন, এলাকাবাসী, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান জানাচ্ছি এবং প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী: মোহাম্মদ শফিউল হক
অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ও কেন্দ্র সচিব-পরীক্ষা কেন্দ্র
চকরিয়া আনওয়ারুল উলুম কামিল মাদরাসা,
শাহারবিল,চকরিয়া,কক্সবাজার।##