চকরিয়া অফিস:
চকরিয়ায় অবৈধ বালু উত্তোলনে বাধা দেয়ায় এবং আদালতে ১৪৪ধারার মামলা করায় হামলা চালিয়ে একই পরিবারের নারীসহ ৫জনকে গুরুতর আহত করা হয়েছে। উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মগছড়ারজোম এলাকায় ১৪জানুয়ারী দুপুর সকাল সাড়ে ১১টায় ঘটেছে এ ঘটনা। এনিয়ে এলাকায় ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অভিযোগে জানাগেছে, আবদু ছাত্তার হেলালীর পুত্র আল আমিন বাদী হয়ে গত ৮জানুয়ারী’২০ইং কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারি চেয়ে এমআর নং ৩৭/২০ দায়ের করেন। আদালত তা আমলে নিয়ে চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দেওয়ার এবং চকরিয়া থানা পুলিশকে জমিতে শান্তিশৃংখলায় বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দেন। অভিযোগে বিবাদী করা হয়েছে; মোক্তার আহমদের পুত্র আবদুল আজিজ হেলালী, মৃত মফজ্জল আহমদের পুত্র আবদু ছালাম ও মনজুর আলমের স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে। অভিযোগ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্তরাসহ ভাড়াটিয়া আরো সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে পাহাড়ের মাটি কাটা ও বালি উত্তোলনের উদ্দেশ্যে গাড়ী চলাচল অব্যাহত রাখেন। এতে বাধা দিতে গিয়ে হামলায় আহত হয়েছে আবদু ছাত্তারের স্ত্রী ইছমত আরা বেগম (৪২), লিয়াকত আলীল স্ত্রী সেতারা বেগম (৩৮), আলী আহমদের স্ত্রী গোলতাজ বেগম, লিয়াকত আলীর পুত্র সিরাজুল ইসলাম (২০) ও স্কুলের শিশু ছাত্রী প্রিয়া মনি (৭)। আহতদের সকলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বাদী আল আমিন অভিযোগ করেন, উল্লেখিত আজিজের নেতৃত্বে বিগত ৫ বছর ধরে বগাচতর মৌজার মগছড়ার জোম এলাকার খতিয়ানী ও খাস জমির ছড়াখাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে এবং পাহাড়ের মাটি কেটে বিক্রি করে চলছে। প্রতিদিন অন্তত অর্ধশতাধিক ডাম্পার গাড়ী নিয়ে প্রচুর শ্রমিক নিয়োগ করে বালি উত্তোলন ও বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আসছে। একদিকে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব, অন্যদিকে খতিয়ানীর জমির মালিকরা বঞ্চিত হচ্ছে প্রাপ্য অংশ থেকে। একই সাথে নিধন হচ্ছে পাহাড়ের মাটি এবং বিলীন হচ্ছে বসতভীটার খতিয়ানী জমি। বাধা দেয়ায় ইতিপূর্বে একটি চাঁদাবাজী মামলা এবং সম্প্রতি থানায় একটি মিথ্যা জিআর মামলা (নং ৪/২০) দায়ের করেছে ভূক্তভোগীদের বিরুদ্ধে। তারা এসব থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।##